Serpent of the City bangla
story-icon-serpent-of-the-city

সর্পিল শহরের বিবরণী

'সর্পিল শহরের বিবরণী'তে কলকাতার ড্রেনেজ ও একটি সম্মিলিত ব্যবস্থা হিসাবে তার উৎসকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটির বিকাশ স্তরের জটিলতা ও সেইসঙ্গে এর অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলিও তুলে ধরা হয়েছে।.
পরিচালনা
স্বর্ণদীপ ভট্টাচার্য 

‘একটি শহর, যার প্রাণ আছে’, বছরের পর বছর ধরে কলকাতাকে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে বাংলা সাহিত্যে, মহাকাব্যে। ডারউইনীয় দর্শনের উপর নির্ভর করে কলকাতার মত একটি শহরকে মানবিকভাবে বিবর্তনের ধারায় উপনীত করে। অর্থাৎ শহরের প্রাণ কেবল তার প্রাসাদোপম কাঠামো বা উজ্জ্বল আলোকিত রাস্তার ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি খন্দ ভরা রাস্তার মধ্যে, পরিপূর্ণ সংগ্রামী মানুষ এবং দুয়ারে দুয়ারে চলকে ওঠা জলোচ্ছ্বাস, এক রাস্তা থেকে আর এক রাস্তায় তার অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে বেঁচে থাকে। এই শহরে বেঁচেবর্তে থাকা, মানুষের জন্য একটি উপযুক্ত রূপক। কিন্তু আমরা প্রায় ভুলেই যাই যে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে জিনিসগুলিকে মঞ্জুর করে নিই সেটি ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর আগে কিন্তু বিদ্যমান ছিল না। এর উত্থানের একটি গল্পও রয়েছে, এমন একটি গল্প যা অন্য যে কোন কিছু চরিত্র এবং একটি বিষয়সূচির অধীনে অজস্র উপ-বিষয়সূচি নিয়ে গঠিত। 

কোম্পানির শাসনের প্রথম দিক

“১৮০৭ সালে, পৌরসভার উন্নতির কাজে অর্থোপার্জনের জন্য লটারি প্রচলন করার পরামর্শ দেন তৎকালীন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জেনারেল”

কোম্পানির প্রথম বছরগুলিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে আমরা দেখতে পাব, সেসময় কলকাতায় কোনও নাগরিক সরকার ছিল না; বরং একচেটিয়া বিচার ক্ষমতা ছিল ১৭২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মেয়র আদালতের ওপরে। পৌর পরিষেবা তখন প্রাসঙ্গিক ছিল না।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সময়ে কিন্তু পরিবর্তনগুলি ধীরে ধীরে এসেছিল এবং মানুষকে মহানগরের প্রতি দায়িত্ববাণ করে তুলতে নতুন করে কিছু নাগরিক দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছিল। গভর্নর জেনারেল ওয়েলেসলির মেয়াদ এই সংস্কার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে দেখা যেতে পারে। সরকারের দায়বদ্ধতার প্রত্যক্ষ ব্যবসায়িক স্বার্থের বাইরে সরকারী কাজকে একটি অত্যাবশ্যক ক্ষেত্র হিসেবে দেখা হয়। ১৬ জুন, ১৮০৩ থেকে সরকারি ‘মিনিট’গুলি একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড যেখানে কলকাতার সুশৃঙ্খল বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রথম আন্তরিক উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। ১৮০৭ সালে, পৌরসভার উন্নতির কাজে অর্থোপার্জনের জন্য লটারি প্রচলন করার পরামর্শ দেন তৎকালীন পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জেনারেল; ফলস্বরূপ, ১৮১৭ সালে গঠিত হয় একটি ‘লটারি কমিটি’ । সংস্কারের এই পরিকল্পনায় শহরের প্রাথমিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি মেরামত এবং নতুন রাস্তা নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হয়। এ সময় নিবেদিতপ্রাণ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নগরীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে। এটি প্রায় বসন্তকালীন জোয়ারের সময় ঘটেছিল, যখন হুগলি নদী টাওয়ারের স্তরের চেয়ে উপরে উঠেছিল এবং যা প্রায়শই শহরের এসপ্ল্যানেড অঞ্চলকে প্লাবিত করে। এই অবস্থায় নোনা জলের জোয়ারের বাড়বাড়ন্তে ভরাট হয়ে যেত শহরতলির নিচু জায়গাগুলো, জলাশয় এবং শহরতলির মধ্যবর্তী অঞ্চল, সেইসঙ্গে নোনা জলের মধ্যবর্তী অঞ্চলও। বর্ষাকালে, দমদম প্লাবিত হত এবং এক খণ্ড জল-প্লাবিত অঞ্চলে পরিণত হয়। সরকার এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল যে ‘সুন্দরবান্ডস’ এর বনভূমি বেল্টটি যা এখন সুন্দরবন নামে পরিচিত, এটি শহরের ‘প্রাকৃতিক অভিভাবক’ হিসাবে কাজ করেছিল, মানুষের ক্রমাগত আগ্রাসনের জন্য ক্রমাগত সাফ হয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চল।

কলকাতার প্ল্যানে ১৯৪৯ সালের ইট নির্মিত পয়ঃপ্রণালী প্রদর্শিত হয়েছে। (সূত্র: drainage department,  corporation of calcutta)

সচেতনতা প্রাথমিক বিকাশের দিকে পরিচালিত করে

“১৮৩২ সালে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ (প্রায় ৩৩৪১.৮/- টাকা) বউবাজার, দুরুমতল্লা, কসিটোল্লা এবং ওয়েলিংটন স্কোয়ারের সঙ্গে সংযোগকারী শহরের নিষ্কাশনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল।”

কলকাতার নগর সম্প্রসারণের সময় ইম্পিরিয়াল সরকার এবং পৌর প্রশাসক- উভয়েই জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিল। বৃষ্টির জল ক্রমাগতভাবে কলকাতার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল অতএব এটি বন্ধ করে সুস্থ নাগরিক জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য একটি সুষ্ঠ নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সম্মত হয়েছিল ‘লিটেরারি কমিটি’। একদিকে স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশনের আদর্শ এবং অন্যদিকে সভ্যতা ও অগ্রগতির আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তারা ১৮৩০-এর দশকে ঔপনিবেশিক রাজধানী শহর কলকাতাকে একটি ‘স্যানিটারি মেট্রোপলিস’-এ রূপান্তরিত করার চেষ্টা শুরু করেন। ১৮৩২ সালে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ (প্রায় ৩৩৪১.৮/- টাকা) বউবাজার, দুরুমতল্লা, কসিটোল্লা এবং ওয়েলিংটন স্কোয়ারের সঙ্গে সংযোগকারী শহরের নিষ্কাশনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল। লর্ড অকল্যান্ড ১৮৩৮ সালে স্বাস্থ্যকর অবস্থা এবং জনস্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করার জন্য জ্বরের হাসপাতাল এবং পৌরসভার উন্নতির জন্য একটি সাধারণ কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের পিছনে মূল চালিকাশক্তি ছিলেন দুরুমতল্লার স্থানীয় হাসপাতালের একজন সার্জন ডঃ মার্টিন। রাজা কালীকৃষ্ণ বাহাদুর, ডাক্তার মধুসূদন গুপ্ত এবং দ্বারকানাথ ঠাকুরের মত বিশিষ্ট বাঙালিদের পরামর্শ চেয়েছিল এই কমিটি। শহরের প্রয়োজনীয়তা এবং সেই সময়ের অবস্থাগুলি ‘ফিভার হাসপাতাল কমিটি’ দ্বারা সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সে সময় দলটি দ্রুততার সঙ্গে এবং দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে একটি ভূগর্ভস্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাই একমাত্র কার্যকর সমাধান। কমিটির অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ এই উপসংহারের সঙ্গে  একমত হন, কিন্তু নর্দমাগুলির মধ্য দিয়ে অবিরাম জলপ্রবাহের বিষয়ে তারা সন্দিহান ছিলেন। যদি কৃত্রিমভাবে পাম্প করে প্রবাহ তৈরি করা হয় তবে এটি কলকাতার মত একটি শহরের তুলনায় রোগের নিরাময় চিকিৎসার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যাবে কি না! কমিটির বেশ কিছু পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ক্যাপ্টেন ফোর্বসের, আর.ই. স্কিমে পর্যবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। তিনি লবণহ্রদকে শহরের নিষ্কাশন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। ক্যাপ্টেন ফোর্বস পাথরের তৈরি একটি জলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলেন, যেটি পুরনো চিৎপুর সেতু থেকে নদীটিকে পুরনো পার্ক স্ট্রিট কবরস্থান হয়ে একটি বড়, খোলা খাল দ্বারা সল্টলেকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। যা প্রবাহিত হবে এন্টালি খালের প্রায় সমান্তরালভাবে। নিষ্কাশন ছাড়াও, ভাবা হয়েছিল যে এই প্রস্তাবিত খালটি যোগাযোগের একটি সস্তা এবং সহজ পথ হিসেবে মানুষের বিকল্প আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

কলকাতার পয়ঃপ্রণালীর অধীনে বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনের অবস্থান চিত্র।  (source: Medium article)

প্রতিবন্ধকতা এবং উদ্ভাবন

সমর্থন পাওয়া যায় নি বলে, বছরের পর বছর ধরে অনেক সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। ১৮৫৭ সালের মধ্যে সমগ্র কলকাতা জুড়ে উন্মুক্ত নর্দমা স্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু শহরের সাধারণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এর বিরুদ্ধে গিয়েছিল। অবশেষে, ঝড়জল এবং পয়ঃপ্রণালী জনিত উভয় ক্ষেত্রের জলকে নিয়ে কলকাতার নিষ্কাশন ব্যবস্থা একটি ‘সম্মিলিত ব্যবস্থা’ বা ‘শুষ্ক আবহাওয়া প্রবাহ’ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। এই পদ্ধতির ভিত্তি প্রথম প্রস্তাবিত হয় ১৮৫৫ সালে এবং অনুমোদন পায় ১৮৫৯ সালে। প্রকল্পটি ১৮৬০ থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল। শহরের প্রধান রাস্তার নীচে, একটি বড়, ৮ ফুট লম্বা বাই ৬ ফুট চওড়া নর্দমা তৈরি করা হয়েছিল এবং ছোট ভূগর্ভস্থ বিপরীতমুখী নর্দমাগুলির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এটির নকশাকার ছিলেন কোম্পানির প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী উইলিয়াম ক্লার্ক। ক্লার্কের মডেলটি সম্পূর্ণ করতে সময় লেগেছিল ১৬ বছর এবং এর ফলে ৪.৮ কিলোমিটার ইট এবং ৫৯.২ কিলোমিটার পাথরের জলের পাইপযুক্ত নর্দমা নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০ শতকের গোড়ার দিকে শহরতলি উন্নতি কমিটি পয়ঃপ্রণালী এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্রমে শহরতলিতে প্রসারিত করতে চেয়েছিল, এই কারণে তারা প্রধান প্রকৌশলী মিঃ কিম্বারকে নিযুক্ত করে ১৯০৯ সালে খিদিরপুর ও ডক এলাকার জন্য একটি সম্মিলিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নকশা করা হয়।      
বহু বছর ধরে বিদ্যাধরী নদীর অবনতি এবং পলির কারণে উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল আগামীর কথা ভেবে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কুলটি গঞ্জের দিকে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়েছিল, যা কলকাতার নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে একটি অনন্য এবং দুরূহ জল ব্যবস্থাতে উন্নিত করেছিল।

কলকাতা , হুগলি নদীর তীরে, তিনটি নর্দমাযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ক্যাচমেন্ট এবং পূর্ব দিকে প্রবাহিত আউটফল চ্যানেল সহ একটি অপরিচ্ছন্ন ক্যাচমেন্ট দেখানো হয়েছে। ইনসেট: ভারতের মধ্যে কলকাতা শহরের অবস্থান (সূত্র: ISH জার্নাল অফ হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং)

আপনি কি জানেন?

Layout of the five major brick sewers in Kolkata_s central _town system_, which was completed to a British design in 1886all have now been cleaned and relined. Town Outfall has yet to be rehabilitated
  • কলকাতা শহর এবং শহরতলির জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য এবং গার্ডেনরিচ ঘিরে একটি বৃত্তাকার বাঁধ  তৈরি এবং শহরতলির জনবসতিপূর্ণ অংশের বাইরে ও লবণ হ্রদ এবং অন্যান্য জলাভূমির তীরবর্তী এলাকা ধরে বাঁধ তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কলকাতা এবং আমস্টারডামের বাস্তবিক বৈশিষ্ট্যের একটি তুলনামূলক অধ্যয়ন করা হয়েছিল এবং উচ্চ আদালতের বিবেচনার জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ‘দুই বা তিনজন যুবক যারা ইঞ্জিনিয়ারিংএর জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে যদি সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে হল্যান্ডে যাবার নির্দেশ দেওয়া হত, সেই দেশের বাঁধ পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে, তবে অনেকখানি লাভবান হওয়া যেত। এই দু’টি দেশ সব দিক থেকে একই রকম। কিন্তু, আমস্টারডাম ও সমগ্র হল্যান্ডকে সমুদ্রের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য ডাচদের গৃহীত পরিকল্পনাগুলি বাংলায় আমাদের প্রকৌশলীদের পক্ষে সবচেয়ে কার্যকর নাও হতে পারে।” ( Judicial, 9th Jan 1943, No 8 )
  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি সেতুও নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮০১ সালে আলিপুরে একটি নতুন সেতু নির্মিত হয়। ১৮২২ সালে টলির নালার উপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলির মধ্যে একটি নির্মিত হয়েছিল এবং এর নামকরণ করা হয়েছিল মারকুইস হেস্টিংসের সম্মানে। কালীঘাটে টলি নালার উপর একটি ফুট ব্রিজ নির্মিত হয়েছিল ১৮২২ সালে , এটি ভারতের প্রথম লোহার সেতু।
     

কলকাতায় ড্রেনেজ নকশা পদ্ধতির প্রাথমিক দিনের উদ্ধৃতি

Caraousel-Images-1

নর্দমার নকশা, জে. উইলকিন্স কৃত, M. Inst CE Executive Engineer, drainage.সূত্র: ক্যালকাটা মিউনিসিপাল গেজেট, ২২ নভেম্বর ১৯২৪।

Caraousel-Images

কলকাতার পয়ঃপ্রণালীর মূল নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং কর্মপদ্ধতির পরিকল্পনা যুক্ত প্ল্যান।সূত্র: কলকাতা পৌরসভা গেজেট ৩ জানুয়ারী ১৯২৫

Caraousel-Images-2

অধ্যাপক পঞ্চানন মিত্রের একটি লেখার অংশ যেখানে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে জল সরবরাহ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রাচীনতম ঐতিহাসিক উল্লেখ সম্পর্কে যুক্তি দেন (সূত্র: কলকাতা পৌরসভা গেজেট ২৮ নভেম্বর ১৯২৫)

Caraousel-Images-3

ঔপনিবেশিক মানসিকতার পাল্টা যুক্তি হিসেবে এইচ. বি বোস কৃত মধ্যযুগীয় ভারতের ইটের নর্দমা উপস্থাপনা।সূত্র: কলকাতা পৌরসভা গেজেট ৩ জানুয়ারী ১৯২৫

Cross-sectional views of Kolkata’s historic sewers

swer1

Liner section being placed inside a sewer by way of an access manhole. (Source ICE)

sewer2

All personnel working in the sewers were required to follow strict safety procedures. (Source ICE)

sewer 4

Image on left : Typical arrangement of GRP liner inside host sewer (Source Basu et All, 2015)

swewer-3

Typical cross-section of a glass-reinforced plastic liner inside an egg-shaped brick sewer – the space between the liner and sewer is grouted to avoid a dangerous build-up of gas GRP, glass-reinforced plastic. (Source ICEpng)

sewer5

View of de-silted (source ICE)

sewer-6

View of rehabilitated sewer (source ICE)

“The drainage system of Kolkata is one of the oldest organized sewage systems in the country. Although the population of the city has grown considerably, the drainage system continues to meet the needs of 1.5 million citizens. While it may not comprise the most effective apparatus, particularly during the monsoons, it is witness to rapid urbanization that threatens its status as a historical marvel. ”

The Sewers of Kolkata- The story of its rejuvenation

তথ্যসূত্র

  1. Selected documents on Calcutta 1800- 1900 , Directorate of state archives,  Higher education Department government of west Bengal. 
  2. Calcutta municipal gazette November 22nd ,  1924 
  3. Calcutta municipal gazette November 28th , 1925
  4. Calcutta municipal gazette 1948
  5. Calcutta municipal gazette 3rd January, 1925
  6. Sunil Kumar Murmu, Nazimul Islam and Dhubojyoti Sen (2021) : the heritage sewer networks of Kolkata (Calcutta) and ascertaining their coping potential under growing urban pressures, ISH journal of Hydraulic Engineering. 
  7. Link to this article: read here
  8. Link to medium article

স্বীকৃতি

আমি কলকাতার ড্রেনেজ সিস্টেমে উপলব্ধ নথি এবং মানচিত্রগুলি অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্যের আর্কাইভস, পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​আর্কাইভস, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।

আমি সেই ব্যক্তিদের তালিকার প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যাদের নির্দেশনা এবং দক্ষতা ছাড়া এই কাজটি অসম্পূর্ণ হত:

  • জিনিয়া মুখার্জি (মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইআইটি খড়গপুর)
  • দীপনকর গাঙ্গুলি (কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​আর্কাইভস)
  • রণজিৎ দাস (কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​আর্কাইভ)
  • দেবাগ্নি মিত্র (চিত্রকর)