১৬ শতকের গোঁড়ার দিকে, পর্তুগিজরা তাঁদের জাহাজগুলি নোঙর করার জন্য বন্দরের বর্তমান অবস্থানটিকে প্রথম ব্যবহার করেছিল। কারণ, তাঁরা কলকাতার বাইরে হুগলি নদীর উপরের অংশগুলি নৌ-চলাচলের জন্য নিরাপদ বলে মনে করছিলেন না। যাই হোক, বর্তমান কলকাতা বন্দরের ভিত্তি করে অনেক আগে থেকে নির্মিত হয়েছিল। যখন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব পূর্ব ভারতে ব্রিটিশ বন্দোবস্তকে বাণিজ্য করার সুবিধা দিয়েছিলেন, তখন থেকেই এই বন্দরের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছিল। এই বন্দরটি কলকাতা শহরের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ব্রিটিশ রাজশক্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে এই বিশাল জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ গ্রহণ করেছিল। ১৮৭০ সালে একটি বন্দরকেন্দ্রিক কমিশন গঠনের মাধ্যমে সরকার বন্দরের কার্যক্রমের উপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। কলকাতা বন্দরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্বার্থকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং তাকে অটুটভাবে রক্ষা করা। কিন্তু ১৯৪৭ সালে শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা লাভের পর বন্দরটিকে জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং দেশভাগের পর, এই বন্দরের পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর’ কলকাতা এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এটি বাণিজ্যের সহজিকরণ, বহু নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। হুগলি নদীর ওপর নির্মিত বন্দরের কৌশলগত স্থানিক স্থিতি- এবং এই অঞ্চলে অবস্থানের জন্য একে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এটি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগকে নিশ্চিত করে। (KOPT, 2014) (Indian Express, 2020)
তথ্যসূত্র
- Indian Express. (2020). The significance of the Kolkata port, renamed by PM Modi. Retrieved from Explained: The significance of the Kolkata port, renamed by PM Modi Article
- KOPT. (2014). Brief History of KoPT. Retrieved from Brief History of KoPT article