এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু কলকাতার পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত পবিত্র গঙ্গা নদীর ধারে ৪০টি ঘাট বা ঘাট-মণ্ডপ। এগুলো এক অনন্য সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপ। যা স্থানীয়ভাবে নির্মিত হয়েছে। এই নদীটি ভাগীরথী-হুগলি নামে পরিচিত। এই স্বল্প পরিচিত “ঘাট-স্কেপ” হাইলাইট করা হয়েছে। এটির সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত গুণাবলীর পাশাপাশি সমসাময়িক শহুরে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়েছে।
ঘাটগুলি যা পার্শ্ববর্তী ভূমি থেকে জলে নেমে আসা ধাপের একটি ফ্লাইট হিসাবে নদীতে সরাসরি শারীরিক প্রবেশাধিকার দেয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্দির ও তার মণ্ডপগুলির সঙ্গে একত্রে একটি অনন্য সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক দৃশ্যের পরিপূরক। এগুলো একটি পবিত্র নদীর আস্তরণ, যা মানবজাতির দ্বারা বহু শতাব্দী ধরে সৃষ্ট। এতেই সকলে নদীতে পৌঁছাতে পারে। ‘ঘাটস্কেপ’ ভূগোল, ভূরূপবিদ্যা, জলবিদ্যা, বাস্তুবিদ্যা এবং পবিত্র, ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ধারাগুলির বিভিন্ন স্তরকে অন্তর্ভুক্ত করে। এতে একটি ভারতীয় পরিচয়যুক্ত ল্যান্ডফর্মকে তৈরি করে দেয়। ভাগীরথী-হুগলি নদীর তীরবর্তী ঘাটগুলিও কলকাতাকে একটি বিশিষ্ট পরিচয় দিয়েছে। সামাজিক, বিনোদনমূলক, পরিবহন এবং শিল্পের মতো বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপকে নিয়েই এগুলি প্রবহামান থেকেছে।
আঞ্চলিক প্রসঙ্গ: গঙ্গার উপর নির্মিত একটুকরো ইউরোপ
প্রাগ্-ঐতিহাসিক কাল থেকে নদী অববাহিকায় অনেক জনবসতি ও শহর গড়ে উঠেছে। কিন্তু কলকাতা সেক্ষেত্রে অনন্য! ইউরোপের সঙ্গে ভারতের বন্ধন ও প্রচেষ্টা বহুদিনের। মশলা, তুলো ও বিশ্বব্যাপী দাসব্যবস্থা বাণিজ্য একাধিক ইউরোপীয় দেশকে সামুদ্রিক বাণিজ্যের দিকে আকৃষ্ট করেছিল। প্রধান বাণিজ্য পথে অসংখ্য ঔপনিবেশিক বন্দর শহর স্থাপন কর হয়েছিল। ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে উচ্চ ঔপনিবেশিকতার দিনগুলিতে, অনেক ইউরোপীয় সামুদ্রিক শক্তি ভারতে বিভিন্ন সুযোগ অন্বেষণ করেছিল। যার মধ্যে রয়েছে নিম্ন গাঙ্গেয় বদ্বীপের অজানা অচেনা বনভূমি ও জলাভূমি অঞ্চল। যা পরে “কলকাতা” হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।
স্থলভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ছিল। যেমন তুর্কি, আর্মেনিয়ান ও সামুদ্রিক ব্যবসায়ী যেমন পশ্চিম ইউরোপীয়দের মধ্যে নিজেদের ভাগ্যকে গঠন করেছিল। নিম্ন-গাঙ্গেয় বাংলায় প্রাধান্য ও প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য ওলন্দাজ, পর্তুগিজ, ডেনিস এবং ফরাসিরা নদীর পশ্চিম তীরে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করলেও, ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা বিপরীত তীরে তাদের সুযোগ অন্বেষণ করে। সেখানে বসতি স্থাপন করে তারা। কলকাত অবশেষে সফলভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে নতুন শহরটিকে ভবিষ্যতের ক্ষমতার আসন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কৌশলগত অবস্থান ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে, কলকাতা সহ বহু-সাংস্কৃতিক জাতীয়তার আবাসস্থল হয়ে উঠে এটি। যা ভারতের বর্তমান “সাংস্কৃতিক রাজধানী” ও সেসঙ্গে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে অবদানকারী শহর।
ঘাট-মণ্ডপগুলি বিভিন্ন স্কেল, উপকরণ, নকশা এবং ফাংশন সহ ঘাট-স্থাপত্যের একটি সামগ্রিক রূপকে দেখায়।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, নদীর সাথে সাংস্কৃতিক ও পবিত্র সম্পর্কযুক্তির কারণে সমগ্র ঘাটস্কেপটিকে একটি “অ্যাসোসিয়েটিভ কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। এটি একটি অনন্য ঐতিহাসিক শহুরে বিন্যাসকে উপস্থাপন করে। সেটি মানুষ, স্থান, বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে সংযুক্ত করে। যেহেতু বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য, কাঠামো ও অনুভূত বৈশিষ্ট্যগুলি ৬০বছরেরও বেশি সময় ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘাটস্কেপ একটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপ (Historic Cultural Landscape বা HCL) হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করে।
ঘাটস্কেপের উপাদান
কলকাতার ভাগীরথী-হুগলি রিভারফ্রন্টে ঘাটের পাশাপাশি ঘাট-সম্পর্কিত প্যাভিলিয়ন রয়েছে। উভয়ই কলকাতার অনন্য ঘাটস্কেপকে গঠন করে।
ঘাটস্কেপের বিন্যাস
ঘাটস্কেপকেন্দ্রিক জীবন
নদী ও ঘাটস্কেপগুলি নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চরিত্রের আভাস দেয়।
প্রবহমানতা ও দশকের মধ্য দিয়ে ঘটস্কেপ
ঘাট-মণ্ডপগুলি মূলত তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠী, ব্যবসা বা বাণিজ্য সংস্থা দ্বারা চালু করা হয়েছিল। এহেন পৃষ্ঠপোষকদের নামে সেসকল ঘাটের নামকরণ করা হয়েছিল পরবর্তীকালে।
Then
Now
ঘাটস্কেপ : ব্যক্তি, ঘটনা, সংগঠন ও স্মরণিকা
ঘাটস্কেপের সাংস্কৃতিক আখ্যান শহরের ইতিহাসে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের সাক্ষ্য বহন করে। ঘাটগুলির বেড়ে ওঠা ও মিলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে নদীপ্রান্তের বিবর্তন এবং শহরের জটিল ঐতিহাসিক বিকাশের সঙ্গে সেগুলি জড়িত হয়ে রয়েছে। এই ঘাটকেন্দ্রিক আখ্যানগুলি তৎকালীন ‘কলকাতা’ ও পার্শ্ববর্তী ধনী-অভিজাত ব্যক্তিদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি আভাস দেয়, যা ‘বাবু’ নামেও পরিচিত।
মায়ের ঘাট
‘মায়ের ঘাট’এর একটি সাফল্যের গল্প আছে, ঘাট এলাকাকে পুনরুজ্জীবিত করে, ঐতিহাসিক মণ্ডপ পুনরুদ্ধার এবং প্রক্রিয়ায় পরিবেশের মধ্যে দিয়ে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত হলেও, এটি ২০০৪ সালে রামকৃষ্ণ মঠ, বাগবাজারের নেতৃত্বে আসে। স্থাপত্য বিভাগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা প্রস্তুত করা পরিকল্পনাটি সমস্ত পাবলিক স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়েছিল। কলকাতা পৌরসভা, পূর্ব রেলওয়ে, KoPT, কলকাতা পুলিশ, CESC এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি- স্থানীয় এমপি ও বিধায়ক সেই বাস্তবায়নের অংশীদার।
মায়ের ঘাট হল বাগবাজার খালের পরে সবচেয়ে উত্তর দিকের ঘাট। এটি শ্রীশ্রীমা অর্থাৎ পবিত্র মা সারদামণি দেবীর নামে নামাঙ্কিত। ১৯০৯ থেকে ১৯২০ সাল অর্থাৎ তাঁর মহাসমাধি পর্যন্ত মায়ের বাড়ি’ বাগবাজারে ছিলেন। সেখানে তাঁর প্রতিদিনের স্নানের জন্য এই ঘাটে আসতে হত। এটি রুট মানচিত্রে নির্দেশিত হয়েছে। পূর্বে এটি দুর্গাচরণ মুখার্জি ঘাট নামে পরিচিত ছিল, পরে সারদা মায়ের সম্মানে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘মায়ের ঘাট’।
ছোটেলাল কি ঘাট
ব্রিটিশ স্থপতি রিচার্ড রোস্কেল বেইন দ্বারা ডিজাইন করা ছোটেলাল কি ঘাট (১৮৭৫)। সেই যুগের সবচেয়ে আলোকিত ঘাট-মণ্ডপ হিসেবে রয়ে গেছে এটি। তাঁর নিজের অধিকারে ছিল এটি, যা একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে নিজেকে জাহির করে। তাঁর সময়ের জনসাধারণের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল এটি। এর দেওয়ালে জনস্বার্থের ফলক স্থাপন করা আছে। এমনই এক ট্র্যাজেডি এই ঘাট-মণ্ডপের দেয়ালে একটি ঐতিহাসিক চিহ্ন হিসেবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
যেহেতু উনিশ শতকের শেষের দিকে পুরী জগন্নাথ ধামের সঙ্গে কোন রেল যোগাযোগ ছিল না। তাছাড়া হাঁটা পথও ছিল খুব কঠিন। অনেক তীর্থযাত্রীরা বিশেষ করে মহিলারা, পুরীতে পৌঁছানোর জন্য নদীপথ গ্রহণ করতে পছন্দ করতেন। ম্যাকলাইন অ্যান্ড কোং পুরী তীর্থযাত্রীদের জন্য কলকাতা থেকে চাঁদবালি (নদী বৈতরণী, পাড় হয়ে ভদ্রক ও উড়িষ্যা) পর্যন্ত ‘স্যার জন লরেন্স’ নামে একটি স্টিমশিপ চালিয়েছিলেন।
১৮৮৭সালের ২৫শে মে ট্র্যাজেডিটি ঘটে। একটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাষ্পবাহী জাহাজটি তার সমস্ত যাত্রীসহ সমুদ্রে ডুবে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি চিহ্নিত করতে প্যাভিলিয়নের দক্ষিণ দেয়ালে একটি স্মারক ফলক স্থাপন করা হয়েছে।
কলকাতার প্রবেশপথ ও বাণিজ্য প্রান্ত হয়ে ওঠা ঘাট
চাঁদ পাল ঘাট
ঘাটের একটি ছোট দোকানদার চন্দ্রনাথ পালের নামে নামকরণ করা হয়েছে, চাঁদপাল ঘাটটি। ১৭৭৪সাল থেকে তৎকালীন ডিহি কলকাতার দক্ষিণ সীমানায় বিদ্যমান ছিল (রায়, ১৯০২)।
১৭৮১সালে নতুন ফোর্ট উইলিয়াম আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঝখানের অঞ্চলটিকে জঙ্গলমুক্ত করা হয়। ঘাটটি সেই সময়ে সকলের অবতরণের স্থান হয়ে ওঠে। ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল, কমান্ডার-ইন-চীফ, বিচারক এবং বিশপ, স্যার সহ সকলের জন্যেই সেই ঘাট একটি প্রয়োজনীয় স্থান হয়। ১৭৮৩সালে উইলিয়াম জোন্স এবং ১৮১৯সালে জেমস প্রিন্সেপও এই ঘাটে আসেন।এই ঘাট থেকেই শ্রী অরবিন্দ ফরাসি জাহাজ এসএস ডুপ্লেক্স (শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট) দ্বারা পন্ডিচেরির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।
বাবুঘাট
বাবুঘাট মণ্ডপটি বাবু রাজচন্দ্র দাসের স্মরণে তাঁর স্ত্রী রাণী রাসমনি ১৮৩০ সালে নির্মাণ করেছিলেন। এটি নদী চলাচলের জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত ভ্রমণ ও ব্যবহারযোগ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
১৮৪১সালের ৩০শে ডিসেম্বর মা এম. ডেলফাইন হার্ট এবং আয়ারল্যান্ডের এগারোজন লরেটো সন্ন্যাসিনীরা বাবুঘাটে অবতরণ করেন। কলকাতায় তাঁদের স্বাগত জানান বিশপ কেয়ারু। লরেটো হাউস ভারতের প্রথম লরেটো স্কুল, যেটি ৫নম্বর মিডলটন রো-তে ১০ই জানুয়ারী ১৮৪২এ সিস্টারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লরেটো কনভেন্ট স্কুল, এন্টালিতে ১৮৪৩সালে শুরু হয়েছিল।
প্রিন্সেপ ঘাট
এই স্মৃতি ঘাটের কাঠামোটি ১৮৪৩সালে জেমস প্রিন্সেপের (১৭৯৯-১৮৪০) প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। তিনি একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ এবং পুরাকীর্তিবিদ ছিলেন। স্থাপত্যের দিক থেকে মার্জিত ঘাট-মণ্ডপটি শীঘ্রই ব্রিটিশ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য পছন্দসই অবতরণ স্থান হয়ে ওঠে। যতক্ষণ না সমুদ্র থেকে নদী পরিবহন ব্যবহার করা হয়। এটি ১৮৭৫সালে প্রিন্স অফ ওয়েলসের আলবার্ট এডওয়ার্ড এবং রাণী ভিক্টোরিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র, ১৯০৫সালে প্রিন্স অফ ওয়েলস (পরে রাজা পঞ্চম জর্জ) এবং ১৯১১সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আগমনের সাক্ষী হয়েছিল।স্মারক প্যাভিলিয়নটি এখন নদীর তীর থেকে প্রায় ১০০মিটার অভ্যন্তরীণে অবস্থিত।
প্রিন্সেপ ঘাট 360 ট্যুর
ফর্ম ও শৈলীর সংযোজন
ঘাট-মণ্ডপগুলি বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর একটি প্রমাণ, যা কলকাতার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে।
প্রায় ২০০বছরের ব্যবধানে বিস্তৃত ঘাট নির্মাণ কার্যক্রম, বিভিন্ন শৈলী এবং স্কেলকে প্রদর্শিত করে।
ডোরিক কলাম দ্বারা নির্মিত পেডিমেন্ট সহ বাবুঘাট (১৮৩০), এবং আয়নিক কলাম সহ প্রিন্সেপ ঘাট মেমোরিয়াল (১৮৪৩), স্বতন্ত্র ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীকে অনুসরণ করে।
জেনানা ঘাট 360 ট্যুর
(আঁকা – দেবশ্রিতা কুন্ডু)
পি কে ঠাকুর ঘাট 360 ট্যুর
হুররো মল্লিক ঘাট 360 ট্যুর
Sketches
বর্তমান সমস্যাবলী
জাঁকজমকপূর্ণ স্থাপত্যশৈলীতে ঘাট-মণ্ডপগুলো আজ তাদের নিজস্ব মাত্রা হারিয়েছে। একসময় গ্র্যান্ড গেটওয়ে হিসাবে সেগুলি দাঁড়াতো, এইগুলিই এখন হয়েছে বাড়ির পিছনের দিকের উঠোন, ঠিক নদীর মতো। যদিও, পবিত্র স্নান এবং ফেরি টার্মিনালের জন্য তাদের প্রাসঙ্গিকতা ভালভাবে অব্যাহত রয়েছে। তবে এগুলোর সাংস্কৃতিক এবং বিনোদনমূলক মূল্যবোধ প্রায় হারিয়ে গেছে।
যদিও এই ঘাট-মণ্ডপগুলির অধিকাংশকে গ্রেড-১ হেরিটেজ স্ট্রাকচার হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। তবুও এগুলি বেলাগাম ও অসতর্ক ব্যবহারের শিকার হয়ে যেমন দখল, যানবাহন পার্কিং, রাতের আশ্রয় এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের দ্বারা নষ্ট হচ্ছে।
সার্কুলার রেলওয়ে করিডোর নদীপথকে খণ্ডিত করার বিষয়টি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
ঘাটে প্লাস্টিকের থেকে দূষণ ও নদীর সামনে পরিবেশগত সমস্যা জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
তথ্যসূত্র
- Bardhan, S. and Paul, S. (2023), The cultural landscape of the Bhagirathi-Hooghly riverfront in Kolkata, India: studies on its built and natural heritage, Journal of Cultural Heritage Management and Sustainable Development, Vol. 13 No. 2, pp. 219-237. The cultural landscape of the Bhagirathi-Hooghly riverfront in Kolkata, India: studies on its built and natural heritage | Emerald Insight
- Bardhan, S. and Paul, S. (2019), Envisioning an eco-cultural urban landscape Studies on the Ghats of the River Bhagirathi-Hooghly in Kolkata, India, IFLA CL WG’s International Symposium on Historic Cultural Landscapes: Succession, Sustenance and Sustainability, Seoul, 18-20 Nov. 2019.
- Bardhan, S. (2006). Riverfront rejuvenation: ‘Mayer Ghat’ in North Calcutta. Journal of Indian Institute of Architects, 71(8). pp. 43.
- Jadavpur University. 2003-04. Study & Documentation of Ghat Structures Along Calcutta Riverfront – A Study conducted by students of Department. of Architecture, Jadavpur University, Kolkata. Unpublished.
- Kundu, A.K. and Nag, P. (1996), Atlas of the City of Calcutta and its environs, National Atlas & Thematic Mapping Organisation (NATMO).
- Mitra, R. and Mitra, R. ‘Saswata Kolkata’ Part I- ‘Gangar Ghat’
- Motilal, A. Howrah – Kolkatar Gangar Ghat’.
- Mukhopadhyay, A. (2018), “MullickGhat and the Jagannath steamer ghat”, available at: MULLICK GHAT AND THE JAGANNATH STEAMER GHAT – PURONOKOLKATA(accessed 29 December 2020).
- Mukhopadhyay, H (1915), Kalikata Shekaler O Ekaler. Kalikata Sekaler O Ekaler – Harisadhan Mukhopadhyay / কলিকাতা সেকালের ও একালের – হরিসাধন মুখোপাধ্যায় : Bangla Rare Books : Free Download, Borrow, and Streaming : Internet Archive
- Old Indian photos (accessed April 2023), Various Riverside Ghats of Calcutta (Kolkata) – c1912-14 – Old Indian Photos
- Ray, A.K. (1902), Census of India, 1901, Vol. VII- Calcutta, Town and suburbs, Part-I, A short history of Calcutta, Bengal Secretariat Press, Calcutta.
- Sri Aurobindo Institute (accessed May 2023), Departure to Pondicherry – Sri Aurobindo (1906-1910)